টাকা-পয়সা বেশি থাকলে বেশ স্বাচ্ছন্দ্যেই যে জীবনযাপন করা যায় এটা পৃথিবীর সব দেশের বাস্তবতা। তবে ধনী হওয়ার সাথে যে আয়ু বাড়ার একটি সম্পর্ক রয়েছে সেটি নিয়ে এতদিন কোন গবেষণা না থাকলেও এবার যুক্তরাজ্যের একটি গবেষণায় তা উঠে এসেছে। ধনী গরীবের আয়ুর বৈষম্যের কারণ খুঁজতে গত ৫ বছর ধরে এই গবেষণা করেন অধ্যাপক ক্লেয়ার বামব্রা।
এই গবেষণার তথ্য অনুযায়ী, আয়ুর ক্ষেত্রে বৈষম্য তৈরি হওয়ার পেছনে বেশ কিছু কারণ থাকলেও মূল কারণ আয়-বৈষম্য। ধনীদের গড় আয়ু অপেক্ষাকৃত কম ধনীদের চেয়ে বেশি। গত দুই দশক ধরেই ইংল্যান্ডের ধনী-গরীবের মধ্যে গড় আয়ুর বৈষম্য বেড়েছে। দেশটির স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে, এই নগরীতে ধনী ও দরিদ্রের মধ্যে আয়ুতেও পার্থক্য তৈরি হয়েছে। জাতীয় হিসেব মতে, স্টকটনে গরীবের চেয়ে ধনীদের আয়ু অন্তত ১৮ বছর বেশি। ইংল্যান্ডের ধনী পরিবারে জন্ম নেয়া শিশুরা অপেক্ষাকৃত গরীব পরিবারে জন্ম নেয়া শিশুদের চেয়ে গড়ে সাড়ে আট বছর বেশি বাঁচে।
স্টকটনে ধনীদের আয়ু বাড়ছে। তারা পাচ্ছেন দীর্ঘ জীবন। কিন্তু গরীবদের আয়ু তেমন বাড়ছে না। গরীবদের বেশিরভাগই মারা যাচ্ছেন অল্প বয়সে। স্টকটনেরই এমনই একজন কম ধনী বাসিন্দা রব হিল। স্ত্রী ও আট সন্তানকে রেখে মাত্র ৪৬ বছর বয়সেই মৃত্যুর প্রহর গুনছেন রব হিল। একদিকে তিনি সারাজীবন ধরে ধূমপান করেছেন অন্যদিকে দারিদ্রের কারণে সব সময় সস্তা ও নিম্নমানের খাবার খেয়েছেন। সব মিলিয়ে রব হিলের শরীরে বাসা বেঁধেছে রোগ-বালাই। তার আছে এম্ফিসেমা, লিম্ফিডেমা ও টাইপ-২ ধরনের ডায়াবেটিস। দুই বছর আগেই ডাক্তাররা তাকে ছয় মাস সময় বেধে দিয়েছিলেন। তাই আক্ষরিক অর্থেই এখন তিনি বেঁচে আছেন বাড়তি আয়ুর বদৌলতে।